কয়েকদিন আগে গৌড় মালদার উপর কিছু বই খুঁজতে গিয়ে একটি বই-এ চোখ আটকে
গেল। বইটির নাম “The Ruins of Gour Described"
১৮১৭ সালে লন্ডনের ব্ল্যাক, পারবারি ও অ্যালেন দ্বারা প্রকাশিত বইটি
সংকলিত হয়েছে প্রয়াত এইচ ক্রেইটনের পাণ্ডুলিপি ও চিত্রাঙ্কন থেকে। বইটির ভূমিকা
থেকে জানা যায় যে হেনরি ক্রেইটনের জন্ম স্কটল্যান্ডে এবং তিনি সান্ডারল্যান্ডে
থাকতেন। ১৭৮৩ সালে, তিনি চার্লস গ্র্যান্টের বাণিজ্যিক সহকারী হিসেবে যোগ দেন, চার্লস গ্র্যান্ট তখন বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানির তূলা এবং রেশম কারখানার মালদা জেলার কমার্সিয়াল রেসিডেন্টের
গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। কয়েক মাইলের
মধ্যেই অবস্থিত গৌড়ের ঐতিহাসিক ধ্বংসস্তূপ। গ্র্যান্ট একটি নীল কারখানা প্রতিষ্ঠা
করেন গোমালটি গ্রামে, যা ছিল সেই বিখ্যাত গৌড় নগরের অভ্যন্তরে। ক্রেইটনকে তিনি সেখানে
তদারককারী হিসেবে নিয়োগ করেন এবং ক্রেইটন ১৭৮৬ সাল থেকে ১৮০৭ সালে চল্লিশ বছর
বয়েসে তাঁর অকালমৃত্যুর সময় পর্যন্ত সেইখানেই থাকতেন।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে গৌড় নগরের অতীত
ইতিহাসের হাতছানি প্রায় নেশা হয়ে উঠেছিল হেনরি ক্রেইটনের। মৃত্যুর সময় বিধবা
স্ত্রী এবং সাত সন্তানদের জন্য প্রায় কিছুই রেখে যেতে পারেননি হেনরি। শুধু এই
সময়কালে অবসর সময়ে ইতিহাসের খোঁজে গৌড়ের ধ্বংসস্তূপের যে সচিত্র বিবরণ তিনি রেখে
গিয়েছিলেন উত্তরকালের জন্য, তা মহাকালের মূল্যে অপরিসীম। তাই সেই প্রয়াত সহকর্মীর
স্ত্রী ও সন্তানের জন্য অর্থসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই বই-এর সংকলন।
এই বই বিক্রির অর্থ থেকে হেনরির পরিবার
কতটা লাভবান হয়েছিলেন তা আমাদের জানার কোন উপায় না থাকলেও, গৌড় ধ্বংসস্তূপের অসামান্য
রেখাঙ্কন ও তার সঙ্গে সেই স্থানের সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক বিবরণ তাঁর মৃত্যুর দুশো
বছরেরও কিছু বেশী সময়ধরে ইতিহাস গবেষকদের সমৃদ্ধ করেছে, এ বিষয়ে আমরা একমত হতে
পারি।
3 comments:
Aro ektu beshi Pele aro khusi hotam
Asadharan,aaro beshi beshi lekho.
Asadharan,aaro beshi beshi lekho.
Post a Comment